Seize the Day - Summary in Bangla

Seize the Day - Summary in Bangla

Seize the Day Summary in Bangla - Bangla Summary :

সীজ দ্যা ডেই (Seize the Day) উপন্যাসটি রচনা করেন সল বেলো (Saul Bellow), যা ১৯৫৬ সালে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়। মানুষের জীবনে কখনো কখনো এমন সময় আসে যখন সবকিছু ব্যর্থ হতে থাকে, সত্যের চেয়ে মিথ্যাই যেন বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। জীবনের অঙ্কের হিসাব গুলিয়ে যাওয়ার সে সময়ে আরো প্রকট হয়ে ওঠে একাকিত্ব। জীবনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার সামনে কেবল বিচারক হয়ে আসে সবাই, কিন্তু তার পাশে হৃদয়ের উষ্ণতা আর সহানুভূতি নিয়ে দাঁড়ায় না। পারিবারিক আর সামাজিক মাপকাঠিতে যখন মাপা হয় তার সফলতা আর ব্যর্থতার অনুপাত, তখন কিন্তু মাপা হয় না হৃদয়ের ক্ষতগুলো, মাপা হয় না জীবনের সাথে জীবনের করা তামাশাগুলো। এমনই এক একাকী, নিঃসঙ্গ জীবনের গল্প ফুটে উঠেছে লেখক Saul Bellow এর ছোট উপন্যাস 'Seize the Day' তে।

উপন্যাসটি নায়ক টমি উইলহেমের একদিনের জীবনকে নিয়ে রচিত, কিন্তু সেই একদিনের চিত্রের মধ্যেই যেন টমির পুরো জীবনটা চিত্রিত হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে তার সমস্যা, একাকিত্ব, আকাঙ্ক্ষা আর ব্যর্থতা। টমির জীবনের চিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক আধুনিক পৃথিবীর মিথ্যা সভ্যতারই ঘুণে ধরা দিকটাই যেন তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে সভ্যতার নামে প্রদর্শন প্রবণতা ও প্রতিযোগিতা মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে নিয়ত কেবল ঠকিয়ে যাচ্ছে।


Seize the Day Summary in Bangla


গল্পটি শুরু হয় নিউইয়র্কের হোটেল গ্লোরিয়ানায়। এই হোটেলে টমি উইলহেম অস্থায়ীভাবে থাকেন এবং টমির বাবা ড. এ্যাডলার কয়েক বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। ঐ হোটেলে অনেক বৃদ্ধ মানুষ ছিল আর টমি উইলহেমের বয়স মাত্র ৪৪ হওয়ায় তিনি হোটেলের এতোসব বুড়ো মানুষদের মধ্যে নিজেকে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, টমি উইলহেম (Tommy Wilhelm) তার বাবার সাথে সকালের নাস্তা করার জন্য হোটেলের escalator দিয়ে নিচের লবিতে (lobby) নেমে আসছেন। এরপর flashback এর মাধ্যমে টমি উইলহেমের অতীত দেখানো হয়।

টমি উইলহেম তার জীবনে কিছু ভুল করেছেন এবং তার ফলস্বরূপ এখন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছেন। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছেন তিনি। তার Hollywood movie -তে star হওয়ার স্বপ্ন বিফল হয়েছে এবং কয়েক মাস আগে তিনি তার চাকরিটাও হারিয়েছেন। বর্তমানে বেকারত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে অহংকার করেই চাকরি টা ছেড়েছিলেন তিনি, যেটা আসলেই ছিল তার বড় ভুল। এখন আর্থিক সংকটে পড়েও জুয়া খেলায় যুক্ত ছিল টমি যেখানে সে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

দাম্পত্য জীবনেও সুখী নন টমি উইলহেম। স্ত্রী মার্গারেট (margaret) এর সাথে তার separation হয়েছে। তাদের দুই সন্তানও আছে। তাই টমিকে তার স্ত্রী এবং বাচ্চাদের alimony এর টাকা দিতে হয়। (alimony হলাে আদালত কর্তৃক একজন স্বামী বা স্ত্রীর উপর ধার্য করা অর্থ, যা তাকে separation -নের পরে তার spouse -কে দিতে হয়). তার স্ত্রী তাকে divorce দিতে চায় না কারণ সে টমি উইলহেমের কাছে থেকে আরাে টাকা নিতে চায়। টমি অলিভ (Olive) নামের একটা মেয়েকে ভালোবাসে, কিন্তু স্ত্রী মার্গারেট তাকে ডিভোর্স না দেওয়ায় অলিভকে বিয়ে করতে পারছে না টমি উইলহেম।

টমি উইলহেম সমস্যা থেকে উত্তরনের পথ খুজছিল। এরকম অবস্থায় ড. টামকিন (Dr. Tamkin) নামের একজন মানুষের কথায় টমি খুব impressed হয়। ড. টামকিনও হোটেল গ্লোরিয়ানার এক বাসিন্দা। টামকিন টমির সাথে পিতৃতুল্য আচরণ করে। টামকিন টমিকে পরামর্শ দেয় শেয়ার বাজারে যুক্ত হতে। টামকিনের ওপর ভরসা করে টমি নিজের শেষ সম্বলটুকু টামকিনের মাধ্যমে stock exchange (শেয়ার বাজারে) এ invest করে দেয়। flashback এর মাধ্যমে টমির অতীত সম্পর্কে এই কথা গুলো জানা যায়।

এরপর টমি উইলহেম (Tommy Wilhelm) তার বাবার কাছে আসে ব্রেকফাস্ট করতে। ছেলে আর বাবার মধ্যের কথোপকথন থেকে অনুধাবন করা যায় যে, টমির বাবা ড. এ্যাডলার (Dr. Adler), যার সকল চিন্তা কেবল নিজেকে নিয়েই প্রবর্তিত হয়। তিনি নিজের সন্তানকে নিজের জীবনের অংশ ভাবতে পারেন না। অর্থ, বিত্ত, তথাকথিত সফলতার পেছনে ছুটে চলা, তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে নিজের সন্তানের অসহায়ত্ব বোঝার বা সন্তানকে পিতার মতো ভালোবাসার ক্ষমতাটুকুও। টমি উইলহেমের বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত doctor, যিনি টমির সাথে একই হােটেলে থাকেন।

টমি উইলহেম অনেকবার বাবার কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে কিন্তু তার বাবা প্রতিবার তাকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ছেলেকে সাহায্য করেননি ঠিকই কিন্তু তিনি অন্যদের সামনে তার ছেলের বিভিন্ন অর্জনের মিথ্যাগল্প সাচ্ছন্দে বলে বেড়াতেন। অন্যদের মিথ্যা গল্প শােনালেও ছেলেকে রাখতেন চাপের মধ্যে। বাবার মুখে নিজের ব্যর্থতার অভিযােগ শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে টমি উইলহেম ড. টামকিনের সাথে stock market এ তার investment এর অবস্থা check করতে গেলেন। ঐ সময় টামকিন উইলহেমকে মানসিক শান্তনা দেয়, যেটা টমি উইলহেম তার বাবার কাছে থেকে পাননি।

যদিও টামকিনের কথা উইলহেম পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেননি তারপরেও তিনি টামকিনের সাথে থাকে। বিকেলে দেখা যায়, বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম অবিশ্বাস্যরকম কমে গেছে, যা টমির জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। টমির দুর্ভাগ্য এই যে, শেয়ার বাজারের ব্যবসায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনি। অন্যদিকে ড. টামকিন অদ্ভুতভাবে বেপাত্তা হয়ে যায়। টামকিন টমির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলো। তাই টমি তাকে খুঁজতে শুরু করে কিন্তু কোথাও খুজে পায় না। আসলে ড. টামকিন টমিকে ঠকিয়ে পালিয়েছে। শেষপর্যন্ত টমি উইলহেমের জমানাে সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। সব হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে যায় টমি কিন্তু অর্থ শেষ হলেও তার আর্থিক চাহিদা শেষ হয় না।


টমি উইলহেম (Tommy Wilhelm) শেষ বারের মতাে বাবার কাছে সাহায্য চান তার বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলে এবং যথারীতি ব্যর্থ হন টমি। বাবার কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পান না টমি উইলহেম। টমির বাবা সামান্য সমবেদনা টুকুও জানাননি টমিকে। তারপর টমি যখন তার হোটেলে ফেরে, তখন টমির স্ত্রী মার্গারেট তাকে টেলিফোন করে। টাকার জন্য কল করেছে মার্গারেট। টমি তাকে জানায় তার আর্থিক দুরবস্থার কথা। কিন্তু মার্গারেট তাতে কোনো সহানুভূতি প্রকাশ করলো না। বরং সে টাকার জন্য টমির উপর আরো প্রেসার দিতে লাগলো। এই নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া হয় এবং টমি তার স্ত্রীকে বলে তার (স্ত্রী) এতাে অভিযােগের কারণে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। রেগেমেগে টেলিফোন রেখে হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন টমি।

বের হয়ে রাস্তায় আসার পরে টমি উইলহেমের মনে হয় সে টামকিনকে একটা শবযাত্রাতে (funeral) দেখতে পেয়েছে। উইলহেম দৌড়ে টামকিনের মুখােমুখি হতে যায় এবং দেখে সেখানে একজন অপরিচিত মানুষের মৃতদেহ। উইলহেম আর ওখান থেকে কোথায় যাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং কাঁদতে শুরু করে। প্রথমত মৃত মানুষটাকে দেখে এবং পরে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ব্যাপারগুলো ও নিজের অসহায় অবস্থার কথা ভেবে টমি কাঁদতে লাগলো। জীবনে এই প্রথম, নিজের ব্যর্থতা আর ভুল গুলো বুঝতে পারলো। জীবনের হিসাব যেনো সে মিলিয়ে ফেলেছে। আর তাই কান্নার মাধ্যমে সব অনুভূতির প্রকাশ করছে। টমির কান্না দেখে আশেপাশের মানুষ দ্বীধায় পড়ে যায় কারণ তারা কেউ উইলহেমকে চিনতো না। এভাবেই পরিসমাপ্তি হয় এই উপন্যাসের।


Characters in Bengali


Tommy Wilhelm : গল্পের protagonist হলো টমি উইলহেম। তার প্রকৃত নাম উইলহেম এ্যাডলার (Wilhelm Adler), অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টায় তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন।

Dr. Adler : ডক্টর এডলার, টমি উইলহেমের বাবা। সে একজন অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার। সে ধনী হওয়া সত্ত্বেও নির্দয় এবং স্বার্থপর প্রকৃতির লোক।

Dr. Tamkin : ডক্টর টামকিন একজন তথাকথিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (Psychiatrist). প্রকৃতপক্ষে সে একজন ভন্ড। টমি উইলহেম তার মাধ্যমে শেয়ার বাজারে (wall street) নিজের শেষ সম্বলটুকু invest করে। টামকিনকে বিশ্বাস করে টমি তার সর্বস্ব হারায়।

Margaret : মার্গারেট টমি উইলহেমের wife এর নাম, যার সাথে টমির separation হওয়ার অবস্থা চলছে।

Catherine : টমি উইলহেমের বোন।

Olive : টমি উইলহেমের প্রেমিকা।

Maurice Venice : তিনি টমি উইলহেমকে হলিউডের অভিনেতা হওয়ার জন্য নিয়ে গিয়ে ছিল কিন্তু পরে টমি কে বাদ দিয়ে দেয়।

Seize the Day Summary in Bangla - Bangla Summary
Seize the Day Summary in Bangla - Bangla Summary

Post a Comment

1 Comments

  1. Very good work,,, I'm glad to have those summary and hopefully you will do much better day by day

    ReplyDelete