Morning Song Summary in Bangla

Morning Song Summary in Bangla

Morning Song - Summary in Bangla - Bangla Summary

সিলভিয়া প্লাথ (Sylvia Path) মর্নিং সং কবিতায় মূলত ছয়টি স্তবক রয়েছে এবং প্রতিটা স্তবকে ০৩ টি করে লাইন রয়েছে। একজন মায়ের বাচ্চা হবার পরে তার যে অভিব্যক্তি সেগুলো এই কবিতায় প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে মর্নিং সং বলতে বুঝানো হচ্ছে সকালে বাচ্চার যে কান্নার শব্দ, এসব তার কাছে সকালের পাখিদের যে সুন্দর গান সেরকম লাগে। বাচ্চা সম্পর্কে তার যে রিলেশনশিপ, বাচ্চা হওয়ার পর একজন মেয়ের যে পরিচয় চেঞ্জ হয়ে যায়, এই বিষয়গুলোই কবিতায় এসেছে। এখানে একটা বাচ্চার প্রতি মায়ের ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়েছে। এই কবিতায় You বা তুমি শব্দটা বাচ্চাকে বলা হচ্ছে এবং I বা আমি শব্দটা হল একজন মা (speaker).

Morning Song by sylvia plath Summary in Bangla


Morning Song Summary in Bangla


কবিতার প্রথম স্তবকে বলা হয়েছে যে, ভালোবাসাটা তোমার উপর দিয়ে এমন ভাবে যাচ্ছে ঠিক যেন তুমি একটা সুন্দর মোটা স্বর্ণের ঘড়ি। সুন্দর মোটা ঘড়িকে মানুষ যেমন ভালোবাসে, তেমনি তোমার জন্মের পর, সকালে তোমাকে দেখার পর, তোমার প্রতি এমন একটা ভালোবাসা হয়ে গেছে। অর্থাৎ তোমাকে পেয়ে যেন আমরা স্বর্ণের একটি মোটা ঘড়ি পেয়ে গেলাম। তুমি ঠিক হবার পর পরই যখন ধাত্রী তোমার পায়ের তলায় আঘাত করলো, তখন তুমি চিৎকার করে কেদে দিলে। এই কান্নায় সুন্দর একটা আওয়াজ হলো, যা আশেপাশে থাকা আওয়াজগুলো থেকেও বেশি সুন্দর। অর্থাৎ সকালের আওয়াজ থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ অন্যরকমের গুরুত্ব পেল। আরেকভাবে বলতে গেলে আমরা বলি, কবি বলেছেন আমরা যেমন স্বর্নের ঘড়িকে ভালোবাসি, তুমি জন্মানোর পরে আমরা তোমাকে তেমনই ভালোবাসি। আমরা সেভাবেই খুশি হলাম এবং আমরা দেখলাম ধাত্রী যখন তোমার পায়ে আঘাত করল তখন তুমি চিৎকার করে উঠলে সেটা অন্যান্য সকল আওয়াজ থেকে অনেক সুন্দর।

কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে কবি বলেছেন তুমি যে পৃথিবীতে আসলে সেই বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা অনেক কথাবার্তা বলতে লাগলাম যেগুলো একটি ইকো বা প্রতিধ্বনি হয়ে গেল। অর্থাৎ এক কথায় একটি আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে তুমি আমাদের মাঝে একটি নতুন দামী কিছু আসলে। তোমাকে মনে হচ্ছে নতুন একটি স্ট্যাচু বা মুর্তি, আর মনে হয় একটি মিউজিয়ামের ভেতর কোন মূর্তি / স্ট্যাচু আনা হয়েছে। আর আমরা যেন তা তার Nakedness কে ঢেকে দিচ্ছি। অর্থাৎ বাচ্চারা জন্মের পরে তারা যেহেতু পোশাক ছাড়া থাকে তাই আমরা দেওয়ালের মত করে তার ছায়া হয়ে থাকলাম এবং তার নিরাপত্তা দিলাম। আমরা তোমাকে ঘিরে ধরে রাখলাম ঠিক যেন একটি শূন্য ফাকা ওয়াল এর মত। অর্থাৎ বাচ্চা জন্মানোর পরে তার আত্মীয়-স্বজনরা পরিবার বর্গরা তার চারপাশে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে গেছে, যেন একটি দেয়াল তাকে ঘিরে রেখেছে। তার আগমন উপলক্ষে একটা সুন্দর ভয়েস বা প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল।

তৃতীয় স্তবকে কবি বলেছেন আমি এখন আর তোমার মা নই। একটা মেঘ যেমন নিজের চিহ্ন বা নিজের ছায়া বাতাসের হাতে সপে দেয় এবং বাতাসের গতিতে নিজেকে মেলে দেয়, ঠিক তেমনি আমিও তুমি হবার পর যে আনন্দ, যে আবেগ, যে ইমোশন, তা দিয়ে আমি নিজেকে মেলে ধরলাম সবার মাঝে, যার খুশিতে আমি ভেসে গেলাম। নিজেকে ছড়িয়ে ধরলাম ঠিক যেমন করে একটি মেঘ বাতাসে নিজেকে বাতাসের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। তেমনি আমি যে তোমার মা শুধু তাই নয়, আমিও সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ওই আনন্দ উৎসবে নিজেকে মেলে ধরলাম। 

কবিতার চতুর্থ স্তবকে কবি বলেছেন, রাত্রিবেলায়, যে রাত্রে তুমি হলে সেই রাতে তোমার ছোট শ্বাস-প্রশ্বাস যেন একটি গোলাপী গোলাপের মধ্য দিয়ে আসা-যাওয়া করছে। অর্থাৎ বাচ্চার যে ঠোট, সেই ঠোঁটের রঙ হচ্ছে গোলাপি, আর তাই বলা হয়েছে একটি Pink Rose এর ভেতর দিয়ে যেন তোমার বাতাস আসা-যাওয়া করছে। এবং আমি জেগে উঠলাম এটা শোনার জন্য। এটা শুনে মনে হচ্ছিল যেন আমার কানের ভেতর দিয়ে খুব দূরের কোন সাগর বা নদীর স্রোতের যে আওয়াজ, এরকম কিছু আওয়াজ ভেসে আসছিল। এখানে মাতা সুখের একটি পর্যায়ে আছেন। বাচ্চা হবার পর বাচ্চার সাথে সম্পর্কিত সব কিছু একটি সুখের আবেশ নিয়ে আসছে। এখানে বলছে যে রাত্রীবেলায় যখন তার মা তার বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ শুনতে পায় তখন তার কাছে মনে হয় দূর থেকে ভেসে আসা কোন নদীর কলতান। 

পরের স্তবকে কবি বলেছেন তুমি যখন রাত্রী বেলায় চিৎকার করে উঠ, তখন আমি জেগে উঠি এবং আমার যে ভিক্টোরিয়ান নাইট গাউন আছে, যেটাতে ফুলের অনেক নকশা রয়েছে, ঠিক তেমনি একটি নাইট গাউন পড়া অবস্থায় তোমার কাছে আসি। অর্থাৎ নাইট গাউন পড়া অবস্থায় যখন তুমি কেঁদে উঠ তখন আমি জেগে উঠি। তোমার মুখ বিড়ালের মুখের মত মনে হয়, যখন তুমি কেদে উঠ।

এই ভাগে কবি বলেছেন জানালার পাল্লা, চৌকাট অথবা যে দুইটা জানালার পার্ট রয়েছে, সেখান থেকে রাত্রে যে সব তারা দেখা যায় সেটা যেন আকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আর আকাশ তা গিলে খাচ্ছে, ঠিক এরকমই একটি অবস্থা। তারা গুলো সাদা হয়ে গেছে বা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। একটি অবস্থা এমন যেন মধ্যরাত্রিতে তোমার কান্না গুলো বা ভয়েস গুলো যেন মুখ থেকে যেন বের হয়ে আসছে বেলুনের মত বা বাবলের মত করে। মনে হচ্ছে একটা গান এটা যেন খুব সুন্দর একটা লিরিক এবং সিলভিয়া প্লাথ মর্নিং সং হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাচ্চার কান্না টাকে। 


Morning Song Short Summary in Bangla


মর্নিং সং কবিতায় একজন মায়ের যখন তার বাচ্চা হয়েছে তখন তার অনুভূতির কথাগুলো বলছেন। যখন তার বাচ্চা হলো তখন তার মনে হলো সে যেন সোনার বড় একটা গোল্ড ঘড়ি পেয়েছে। তার পরিবারের সবাই তাকে চারদিক থেকে দেখছে এবং তিনি আরো বলেছেন যখন ধাত্রী তার পায়ে আঘাত করল তখন বাচ্চাটি কেদে দিল এবং তার যে আগমন হলো, সে আগমন টা যেন বড় একটি মিউজিয়ামে কোন একটি মূর্তি আনা হয়েছে, যেটাকে দেখার জন্য সবাই ওয়ালের মতো করে জড়ো হয়ে গেছে, যা একটি ঢাল হয়ে তার উলঙ্গ তাকে ঢেকে দিচ্ছে।

এ অবস্থায় স্পিকার বলছেন আমি শুধু তোমার মা নই বরং আমি একজন মেঘ। একটি মেঘ যেমন বাতাসের গতিতে নিজেকে ছড়িয়ে দেয়, মেলে ধরে। ঠিক তেমনি আমিও নিজেকে ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্যদের আনন্দের মধ্য দিয়ে বিলিয়ে দিয়েছি। মা তো হয়েছি কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু আনন্দ যেন আমিও উপভোগ করছি। রাত্রি বেলা যখন তুমি ঘুমিয়ে থাকো তখন তোমার ছোট ঠোঁটের ভেতর দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস বের হয়, সেটা মনে হয় একটি গোলাপি গোলাপের ভেতর দিয়ে বাতাস বের হচ্ছে। আর সেই শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ টা মনে হচ্ছে দূর থেকে ভেসে আসা কোন নদীর কলতান বা সাগরের আওয়াজ।

যখন তুমি কেদে দাও তখন আমি জেগে উঠি আমার ফুলওয়ালা ভিক্টোরিয়ান গাউন পড়ে। তুমি ছোট বিড়ালের মতো সেই মুখ দিয়ে কাঁদতে থাকো, ঠিক সেই মুহুর্তে বাহিরের আকাশে যে তারা গুলো জানালা দিয়ে দেখা যায়, সেগুলো একদম সাদা বর্ণের বা ফ্যাকাশে বর্ণের হয়ে আছে। যেগুলোকে আকাশ গ্রাস করে নিচ্ছে এরকমই অবস্থার কথা বলছে। অর্থাৎ গোধূলির কথা বলা হচ্ছে এবং এই সময়ে তোমার কান্না গুলোয় মনে হচ্ছে যেন অনেকগুলো সংগীত কানে ভেসে আসছে এবং তুমি চেষ্টা করছো অনেকগুলো লিরিক গাইতে যেগুলো ভেসে আসে বেলুনের মত করে। তোমার যে ভয়েস গুলো সেগুলো আমার কাছে আসে। সবশেষে একজন মেয়ে মা হবার পরে তার যে অনুভূতি হয়, সেগুলো প্রকাশ করা হয়েছে এই কবিতায়। তার বাচ্চার কান্নাকে মর্নিং সং বা সকালবেলার গান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

Post a Comment

0 Comments