The Love Song of J. Alfred Prufrock - Summary in Bangla

The Love Song of J. Alfred Prufrock - Summary in Bangla

The Love Song of J. Alfred Prufrock - Summary in Bangla :

"দ্যা লাভ সং অব জে. আলফ্রেড প্রুফরক" (The Love Song of J. Alfred Prufrock) কবিতাটি টি. এস. ইলিয়টের (T. S. Eliot) লেখা অন্যতম একটি কবিতা। এটি ১৯১১ সালে রচিত হয়। পুরো কবিতা জুড়েই একটা হতাশার ছোঁয়া বিদ্যমান। একজন আধুনিক কবি হিসেবে ইলিয়ট তাঁর এই কবিতাটিতে আধুনিক মানুষের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, হতাশা, ভয় ও অন্তঃসারশূন্যতা, এসবের চিত্র বেশ ভালোভাবেই চিত্রিত করেছেন। আধুনিক মানুষ যে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে সেটাই কবি প্রুফ্রকের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

The Love Song of J. Alfred Prufrock - Summary in Bangla
The Love Song of J. Alfred Prufrock - Summary in Bangla


The Love Song of J. Alfred Prufrock - Summary in Bangla


"দ্যা লাভ সং অব জে. আলফ্রেড প্রুফরক" কবিতাটি হচ্ছে একটি ইনটেরিওর মনোলগ (Interior monologue) এবং প্রফ্রোক হলেন এই কবিতার স্পিকার এবং নায়ক। কবিতায় প্রুফ্রোক একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ, যিনি দ্বৈত মাথাওয়ালা অর্থাৎ bold-headed. মধ্যবয়স্ক হলেও তিনি তার বয়স লুকানোর জন্য স্টাইলিশ ফ্যাশনেবল পোশাক পরেন। তিনি একজন সুন্দরী ভদ্রমহিলাকে পছন্দ করেন তবে তিনি তার অনুভূতি তার কাছে প্রকাশ করতে পারেন না। তিনি পুরুষত্বহীন, দুর্বোধ্য, হতাশাগ্রস্ত, হাস্যকর, নিষ্ক্রিয় এবং মানসিক অন্তঃসারশূন্য। তিনি মেয়েটিকে তাঁর হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে ভালোবেসেছেন কিন্তু মেয়েটির সামনে কখনও তা প্রকাশ করতে পারেন নি। তাই প্রুফ্রকের কাছে সবকিছুই মনে হয়েছে নীরস, মুমূর্ষু রোগীর মতন।

কবিতার শিরোনাম (title) ব্যঙ্গাত্মক। যদিও প্রুফরক তার প্রিয়তমার প্রতি তীব্র আবেগ অনুভব করছেন তবে তা মুখের দ্বারা প্রকাশ করতে পারছেন না। প্রুফরক তার বয়স সম্পর্কে চিন্তা করেন এবং গভীর দীর্ঘশ্বাস অনুভব করেন। প্রুফরক ভাবেন যদি সে তার ভালেবাসার মানুষকে তাঁর ভালোবাসার কথা বলেন তাহলে কি বা হবে কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে হয় যদি তাঁর ভালেবাসার মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে তখন কি হবে। প্রুফরক আবার এটাও ভাবেন যে তার বয়স, সৌন্দর্য নিয়ে যদি সে আবার প্রশ্ন তোলে। প্রুফরক খুব কমই নিজেকে নিয়ে ভাবেন এবং এমনকি একটু উপভোগ করতেও পারেন না। চিন্তা-ভাবনা ছাড়া জীবনে কিছু করার সাহস তার নেই। এই রকম নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের প্রকাশ ঘটেছে কবিতাটিতে। (The Love Song of J. Alfred Prufrock - Bangla Summary)

যদিও এই কবিতার নাম 'The Love Song' তবে আমরা এখানে কোনও প্রেমের প্রস্তাবের দৃশ্য পাই না বরং আমরা দেখতে পাই যে প্রুফরক ভদ্রমহিলাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তবে তিনি নিজেকে দু'ভাগে বিভক্ত দেখতে পেয়েছেন- একটি হচ্ছে তাঁর রোমান্টিক স্বত্বা এবং অপরটি বাস্তববাদী স্বত্বা। তাঁর রোমান্টিক স্বত্বা তাকে তাঁর প্রেমিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছে তবে তাঁর বাস্তববাদী স্বত্বা তাকে বলছে যে তিনি তার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন। সে বলবে 'আমি তোমাকে বিয়ে করব না'। এই ধরণের সমস্যাগুলি ভেবে তিনি তাকে প্রস্তাব দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

প্রধান দুটি বাধা, যা তাকে তার প্রেমিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে দেয় না। এক. তিনি তার বৃদ্ধ বয়স সম্পর্কে অনেক উদ্বিগ্ন। দুই. তিনি একক অবস্থাকে (single state) ছেড়ে দিতে নারাজ, যেখানে তিনি নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের সাথে যৌন ঘনিষ্ঠতায় (intimacy) জড়িয়ে রেখেছেন। এই কারণেই তার প্রেমিকার সাথে দেখা হওয়ার পরে, তিনি তার কাছে তার অন্তর্নিহিত অনুভুতি প্রকাশ করতে সক্ষম হন না।

এভাবে প্রুফরক শত চেষ্টা করেও তাঁর ভালোবাসার কথা বলতে পারে না আর এটাই আধুনিক মানুষের একটা বৈশিষ্ট্য। "The love song of j. alfred prufrock" কবিতাটি মধ্যবয়সী ব্যক্তির হতাশা এবং নিষ্ক্রিয়তার বৈশিষ্ঠ্য উপস্থাপন করে। এখানে, প্রুফ্রোক হলেন আধুনিক মানুষের প্রতিনিধি। আধুনিক মানুষ প্রুফ্রোকের মতো অসম্পূর্ণ, দুর্বল, হতাশ, হাস্যকর, হতাশা এবং নিষ্ক্রিয়। তাই কবিতাটিতে আধুনিক মানুষের মনের হতাশা, নৈরাশ্য, ব্যর্থতা, ভয় ও অন্তঃসারশূন্যতাই প্রকাশ পেয়েছে। আধুনিক মানুষ যে সিধান্তহীনতায় ভোগে সেটাই কবি প্রুফরকের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে অপরকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments