Look Back in Anger - Summary in Bangla

Look Back in Anger - Summary in Bangla

Look Back in Anger - Summary in Bangla - Bangla Summary :

লুক ব্যাক ইন এংগার একটি বাস্তববাদী নাটক যা রচনা করেন John Osborne - জন অসবর্ন। লুক ইন ব্যাক ইন আধুনিক ব্রিটিশ থিয়েটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাটক হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ছিল "Kitchen Sink Drama" এর প্রথম বিখ্যাত উদাহরণ। নাটকের মূল চরিত্র জিমি পোর্টার, যিনি "অ্যাংরি ইয়ং ম্যান" এর জন্য মডেল হয়েছিলে, যা ব্রিটিশ সমাজের পুরো প্রজন্মের শিল্পী ও শ্রমজীবী যুবককে দেওয়া একটি ডাকনাম। নাটকে আমরা দেখি যে, উচ্চ শিক্ষিত হয়েও বেকার জিমি পোর্টার, তার ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে সংগ্রাম করেছিলেন, ফলস্বরূপ তিনি তাঁর স্ত্রী অ্যালিসনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জিমি একটি ছোট ক্যান্ডির দোকান চালায়।তিনি এই কাজটি নিয়ে অসন্তুষ্ট এবং অনুভব করেন যে তিনি জীবনের চেয়ে বেশি পাওয়ার যোগ্য।



Look Back in Anger Summary in Bangla


এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র জিমি পোর্টার। তিনি উচ্চ শিক্ষিত এবং শ্রমজীবী শ্রেণির (Working class) মানুষ। জিমি একজন রাগান্বিত যুবক। তার হতাশাই তার রাগের কারণ। আর তার হতাশার কারণ হলো তিনি শিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাননি। জিমির স্ত্রী অ্যালিসন পোর্টার। অ্যালিসন এক উচ্চ শ্রেণির (Upper Class) পরিবারের এক মেয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৫০ এর দশকে ইংল্যান্ডে শ্রেনী বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও শ্রমজীবী শ্রেণি পরিবারের জিমি পোর্টার ও উচ্চ শ্রেণি পরিবারের অ্যালিসন এর মধ্যে প্রেম হয়েছিল এবং তাদের পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও তারা বিয়ে করে। এই দম্পতি ক্লিফ লুইস এর সাথে বসবাস করেন, ক্লিফও শ্রমজীবী ​​শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত এবং জিমির দীর্ঘকালীন বিশস্ত বন্ধু।জিমি পোর্টার ও ক্লিফ লুইস একটা মিষ্টির দোকান পরিচালনা করে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, এপ্রিলের এক রবিবার সন্ধ্যায়, অ্যালিসন ঘরের এক কোণে কাপড় ইস্ত্রি করছে এবং জিমি ও ক্লিফ রবিবারের নিউজপেপার পড়ায় ব্যস্ত। এই সময় জিমি, ক্লিফ এবং অ্যালিসনকে উস্কানি করা শুরু করে। সে ক্লিফের স্বল্প বুদ্ধির জন্য তাকে ঠাট্টা করে। ক্লিফ ভাল প্রকৃতির ও অমায়িক এবং তিনি জিমির কথা গুলো গ্রহণ করছেন। জিমি তার স্ত্রী অ্যালিসনকে তার পরিবার নিয়ে মজা করে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে, সমালোচনা করছে, অপমান করছে যা অ্যালিসনকে সূচের মত বিদ্ধ করছে। অ্যালিসন জিমিকে শান্ত হওয়ার জন্য প্রার্থনা করে, এতে জিমি তাকে অপমান করার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। যদিও জিমি ও অ্যালিসন দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো কিন্তু তাদের মধ্যে সুখ শান্তি বিরাজমান নেই। ক্লিফ লুইস "জিমি ও অ্যালিসন" এ দু'জনের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে।



সংবাদপত্র পড়ার সময়, জিমি ক্লিফ লুইসকে বলে, এই সংবাদপত্রের সব সংবাদ মিথ্যা, সরকার কোনো সত্য নিউজ প্রচার করে না। জিমি ক্লিফ লুইসকে বলে কেনো সে পত্রিকা পড়বে। কারন সে তো পত্রিকা পড়ে বুঝতে পারে না। জিমির মতে, একমাত্র সে নিজে সংবাদপত্রের বিষয়বস্তু টা বুঝতে পারে।এই নিয়ে ক্লিফ লুইসের সাথে জিমির লেগেই থাকে। পত্রিকার হেডলাইন নিয়ে জিমি ও ক্লিফ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। জিমি আর ক্লিফ ইয়ার্কি করে কুস্তি খেলে এবং রুমের মধ্যে ছোটাছুটি করে তখন জিমি গিয়ে অ্যালিসনের ইস্ত্রি করার বোর্ডের উপর পড়ায় অ্যালিসনের হাত পুড়ে যায় ইস্ত্রির তাপে। জিমি এই ঘটনার জন্য দুঃখিত হয় কিন্তু অ্যালিসন তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। জিমি চলে যাওয়ার পর ক্লিফ অ্যালিসন কে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে, তার হাতে পানি ঢেলে দিয়ে ব্যথা উপশম করাতে। এসময় অ্যালিসন ক্লিফকে একটা গোপন কথা জানায় যে সে প্রেগন্যান্ট কিন্তু জিমিকে এই ব্যাপার টা অ্যালিসন জানায় নি। কারন অ্যালিসনের প্রেগন্যান্টের কথা শুনলে জিমি রেগে যেতে পারে। অ্যালিসনের মা হওয়ার কথা শুনে ক্লিফ খুশি হয় এবং অ্যালিসন কে কিস করে।জিমি এসে এটা দেখে ফেলে কিন্তু তিনি কিছু মনে করলো না।

তারপর জিমি ও ক্লিফ আবার সংবাদপত্র নিয়ে তর্ক করে এবং তারা দুজনেই বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর জিমি আসে এবং সবকিছুর জন্য অ্যালিসনকে সরি বলে এবং তাদের মধ্যে একটা অন্তরঙ্গ ভাব চলে আসে। তারা তখন "বিয়ার & স্কুইরিল" খেলাটি খেলে। জিমি একটা ভাল্লুকের ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং অ্যালিসন একটা কাঠবিড়ালির ছদ্মবেশ ধারণ করে। অ্যালিসন জিমিকে বিয়ার বলে ডাকে এবং জিমি অ্যালিসনকে স্কুইরিল বলে ডাকে। এই সময়ে ক্লিফ প্রবেশ করে এবং বলে যে অ্যালিসনের পুরনো বান্ধবী হেলেনা চার্লস কিছুদিনের জন্য তাদের অ্যাপার্টমেন্টে অতিথি হিসেবে থাকতে আসতেছে, এটা হেলেনা টেলিফোন করে জানিয়েছে। এটা শুনে জিমি খুব রেগে গেলো, কারন হেলেনাকে সে মোটেও পছন্দ করেনা। এই নিয়ে অ্যালিসন ও জিমির মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে জিমি বলে, অ্যালিসন এই পৃথিবী টাকে ভালো করে একদিন বুঝতে পারবে, যেদিন তার একটা বাচ্চা হবে এবং বাচ্চাটি মারা যাবে। জিমি এখনো জানে না যে, অ্যালিসন প্রেগন্যান্ট। নিতান্ত রাগের বশবর্তী হয়ে সে এই মন্তব্য করে বসেছে। ইতোমধ্যে হেলেনা চলে আসলো।




এর ঠিক দুই সপ্তাহ পর, রবিবার সন্ধ্যায়, চা বানানো হচ্ছিলো এবং হেলেনা অ্যালিসনকে সাহায্য করছিলো। অ্যালিসন হেলেনাকে ধন্যবাদ জানালো, কারন এই দুই সপ্তাহ হেলেনা তাকে অনেক সাহায্য করেছে। এই সময়ে জিমি পোর্টার ক্লিফ লুইসের রুমে জোড়ে জোড়ে ট্রাম্পেট বাজাচ্ছিলো। এটা শুনে অ্যালিসন রেগে যাচ্ছিলো। অ্যালিসন তার বৈবাহিক জীবনে সুখী না জিমিকে নিয়ে এবং জিমি তার সাথে কেমন ব্যবহার করে এই পুরো ব্যাপার অ্যালিসন হেলেনাকে খুলে বললো। অ্যালিসন হেলেনাকে জানালো সে প্রেগন্যান্ট। এসব শুনে হেলেনা বলে এটা জিমিকে জানানো উচিত এবং অ্যালিসনের এখান থেকে যাওয়া উচিত জিমির সাথে তার থাকা উচিত নয়।

তারপর হেলেনা ও অ্যালিসন চার্চে যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো। তারা ক্লিফ লুইস কে জিজ্ঞেস করলো সে তাদের সাথে চার্চে যাবে কিনা। ক্লিফ বললো সে যাবে না, তার নিউজপেপার পড়া বাকি আছে। এরপর জিমি আসে। ক্লিফ কে নিউজপেপার পড়তে দেখে সে আবার ক্লিফের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে। জিমির মতে ক্লিফের নিউজ পেপার পড়ার যোগ্যতা নেই সে এর কিছুই বোঝে না। জিমি হেলেনা ও অ্যালিসনকে জিজ্ঞেস করলো তারা কোথায় যাচ্ছে। অ্যালিসন বললো তারা চার্চে যাচ্ছে। জিমি তখন অ্যালিসন কে জানালো জিমির বন্ধু হিউজ ট্যানারের মা অসুস্থ, তাকে দেখতে যাবে সে। জিমি অ্যালিসনকে জিজ্ঞেস করে, অ্যালিসন তার সাথে যাবে নাকি হেলেনার সাথে চার্চে যাবে? অ্যালিসন জানালো সে হেলেনার সাথে চার্চে যাবে। জিমির খারাপ লাগলো এই ব্যাপারটিতে। তারপর অ্যালিসন ও হেলেনা চার্চের উদ্দেশ্যে বের হলো। হেলেনা অ্যালিসনকে বললো, সে তার (অ্যালিসন) বাবার কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছে অ্যালিসনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অ্যালিসন যাওয়ার জন্য রাজি হলো।

পরের দিন সন্ধ্যায়, অ্যালিসনের বাবা কর্নেল রেডফার্ন আসলো তার মেয়েকে নিয়ে যাবার জন্য। অ্যালিসন তার বাবাকে জিমির ব্যাপারে সব খুলে বললো। যাবার সময় অ্যালিসন হেলেনা কে জিজ্ঞেস করলো সেও এখন যাবে কিনা। হেলেনা বললো তার এখনো একটা অডিশন বাকি আছে। তাই সে আরো একদিন থাকবে। এরপর অ্যালিসন তার বাবার সাথে চলে গেলো। যাবার সময় অ্যালিসন একটা চিঠি লিখে রেখে যায় জিমির জন্য। জিমি বাসায় আসলে, জিমি কে চিঠি টা দিলো হেলেনা। চিঠি পড়ে জিমি রাগান্বিত হয়ে যায়। সে উল্টাপাল্টা বকতে লাগলো অ্যালিসনকে। জিমি বলে অ্যালিসনের প্রেগন্যান্ট হওয়াকে সে কেয়ার করে না। তখন হেলেনা জিমিকে একটা থাপ্পড় মাড়লো। জিমি এতে বিমর্ষ হয়ে পড়ে এবং হেলেনা জিমিকে প্যাশোনেটলি কিস করে। এরপর থেকে জিমি ও হেলেনার মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে। এক কথায়, তাদের মধ্যে ভালো লাগা ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এর পর কেটে যায় কয়েক মাস। (Look Back in Anger Bangla Summary)




এবারের দৃশ্যটা ঠিক প্রথম দৃশ্যের মত। রবিবার এক সন্ধ্যায় জিমি ও ক্লিফ দুজন নিউজপেপার পড়ছে আর হেলেনা কাপড় ইস্ত্রি করছে, ঠিক যে জায়গায় অ্যালিসন কাপড় ইস্ত্রি করতো। এসময় জিমি ও ক্লিফ মজা করে কুস্তি লড়ে এবং ক্লিফের শার্টে ময়লা লেগে যায় এবং হেলেনা সেটা ধুয়ে দেয়। ক্লিফ কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যায়। তারপর হেলেনা জিমিকে বলে সে জিমিকে ভালোবাসে এবং সবসময় চায়। ঠিক এই সময়, হঠাৎ কেউ দরজায় নক করলো। দরজা খুলে দেখা গেলো অ্যালিসন ফিরে এসেছে। তাকে খুব রুগ্ন এবং ভারাক্রান্ত দেখাচ্ছে। অ্যালিসন ভেতরে আসলো। আসার পর সে জানালো তার গর্ভপাত (miscarried) হয়েছে, সে তার বাচ্ছা হারিয়েছে। পৃথিবীর বাস্তবতা বুঝতে যতটুকু কষ্ট পাওয়া দরকার তা সে পেয়েছে, যেমন টা জিমি পোর্টার চেয়েছিলো।

এদিকে হেলেনা বললো সে এখান থেকে চলে যাবে এবং সবকিছুর জন্য সে সরি বললো। হেলেনা তার ভুল বুঝতে পেরেছে। হেলেনা বলে আসলে জিমি ও অ্যালিসনের মধ্যে যে ঝামেলা টা হলো, এই সব কিছুর জন্য সে ই দায়ী। জিমি ও অ্যালিসনের মধ্যে তার বাধা হয়ে আসা উচিত হয়নি। কিন্তু অ্যালিসন বলে, অ্যালিসন ই চলে যাবে। সে আরো বলে সে জিমি ও হেলেনার মধ্যে বাধা হয়ে থাকতে চায় না। হেলেনা তার ভুল স্বীকার করে এবং জিমিকে ডেকে বলে যে সে চলে যাচ্ছে। ক্লিফ লুইস বললো সেও চলে যাবে এখান থেকে। তারপর হেলেনা ও ক্লিফ লুইস চলে গেলো। এবার জিমি পোর্টার অ্যালিসনকে বললো সেও তার ভুল বুঝতে পেরেছে এবং সে স্বীকার করলো, সে যা করেছে, তা করা ঠিক হয়নি। জিমি ও অ্যালিসন একে অপরকে আলিঙ্গন করে। তাদের মধ্যে আগের সেই অন্তরঙ্গ ভাব টা চলে আসলো। তারা "বিয়ার & স্কুইরিল" গেমটা খেলা শুরু করলো। এভাবে জিমি ও অ্যালিসনের পুনর্মিলনের মাধ্যমে একটা হেপি এন্ডিং এর মধ্য দিয়ে নাটকটির পরিসমাপ্তি হলো।


Look Back in Anger Characters in Bengali

Jimmy Porter : জিমি পোর্টার কর্মজীবী শ্রেণীর ২৫ বছর বয়সী একজন শিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি সবসময় রাগান্বিত অবস্থায় থাকেন এবং তিনি একটি মিষ্টির স্টল চালান। ক্লিফ লুইসের সাথে তার সভচেয়ে ভাল বন্ধুত্ব।
Alison Porter : অ্যালিসন পোর্টার হলো জিমি পোর্টারের স্ত্রী, যিনি অসুখি যুবতী। অ্যালিসনের জন্ম উচ্চ শ্রেণির এক পরিবারে। কিন্তু জিমি পোর্টারকে বিয়ে করায় তিনি উচ্চ শ্রেণির পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
Cliff Lewis : ক্লিফ লুইস জিমি ও অ্যালিসন পোর্টারের প্রতিবেশি ও বন্ধু। তারা তিনজন একই অ্যাপার্টমেন্টে বাস করে। ক্লিফ মিষ্টি স্টলের দোকানে জিমিকে সাহায্য করে।
Colonel Redfern : কর্নেল রেডফার্ন হলেন অ্যালিসনের বাবা। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি অফিসার, যিনি তার মেয়েকে খুভ কমই দেখেছেন।
Helena Charles : হেলেনা চার্লস অ্যালিসনের বান্ধবী।তিনি একজন অভিনেত্রী। সে সবার উপর প্রভাব খাটাতে চায়।
Nigel: নিগেল অ্যালিসনের ভাই। সে একজন রাজনীতিবিদ এবং সে "অস্পষ্ট" হওয়ার কারণে জিমি তাকে উপহাস করেছে। সে নাটকে উপস্থিত হয় না।
Hugh Tanner : হিউ ট্যানার জিমির এক পুরনো বন্ধু। সে আর এলিসন পোর্টার একাত্ম হতে পারে না। নাটকে তাকে উল্লেখ করা হলেও একশনে উপস্থিত হন নি।

Post a Comment

1 Comments